কীবোর্ডের ভুমিকা :
কিবোর্ড হলো কম্পিউটারের প্রধান ইনপুট ডিভাইস। যাতে কিছু বাটন থাকে য়ার উপরে বর্ণমালা নাম্বার ছাপানো থাকে, যেটি মুলত মেকানিকাল লিভার বা ইলেক্টনিক্স সুইচের মতো কাজ করে। আর এই বর্ণমালা গুলো মূলত কম্পিউটারে সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয় কিবোর্ডের মাধ্যমে। কম্পিউটারের কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি? সে সম্পর্কে সম্পূর্ন আলোচনা করা হবে আজকের এই পোষ্ট এর মাধ্যমে।
কম্পিউটারের কীবোর্ড সম্পর্কিত যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
Table of Contents
কীবোর্ড পরিচিতি :
কিবোর্ড হলো টাইপারদের ধারনা থেকে আসা এক ধরনের ইনপুট ডিভাইস। যেখানে বিভিন্ন ধরনের বাটন সংযুক্ত থাকে, যেগুলো মূলত ইলোক্টনিক সুইচের মতো কাজ করে। আপনি যে আপনার আঙ্গুল দিয়ে কিবোর্ডের উপরে থাকা বাটনটি প্রেস করবেন তার ফলগুলো কম্পিউটার স্কিনে দেখতে পারবেন।কিবোর্ডে এ মুলত ৮৪ থেকে ১০১ টি কী থাকে এবংকিছু কিছু কিবোর্ডে ১০৪ থেকে ১১০ টি পর্যন্ত কী থাকে।
Keyboard Full From : কীবোর্ড এর সম্পর্ন রূপঃ
K = Keys – কী
E = Electronic – ইলেকট্রনিক
Y = Yet – এখনো
B = Board – বোর্ড
O = Operating – অপারেটিং
A = A to Z – A থেকে Z
R = Response – প্রতিক্রিয়া
D = Directly – সরাসরি
কম্পিউটারের কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি?
কীবোর্ড দুই প্রকারঃ
- স্ট্যান্ডর্ড কীবোর্ড
- ইনহ্যান্স কীবোর্ড
১. স্ট্যান্ডর্ড কীবোর্ড
আমরা যখন ডেক্সটপ কম্পিউটারে কিবোর্ড ব্যবহার করি এবং জ্যাকেট গুলো আকারে বড় হয় সেটাকে মূলত স্ট্যান্ডর্ড কীবোর্ড বলা হয়। স্ট্যান্ডর্ড কীবোর্ড গুলোতে বাটম কী গুলোর সংখ্যা বেশি থাকে যেমন ১০১ থেকে ১১৪ টি পর্যন্ত থাকে।
২. ইনহ্যান্স কীবোর্ড
আমরা যখন বিভিন্ন ধরনের ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকি তখন ল্যাপটপ এর সাথে যে কীবোর্ড দেওয়া থাকে সেটাকে ইনহ্যান্স কীবোর্ড বলে।যেমন ইনহ্যান্স কীবোর্ডে সংখ্যার সীমাবদ্ধতা রয়েছে ইনহ্যান্স কীবোর্ডে কী থাকে শুধু ৮৬টি।
কম্পিউটারের কীবোর্ডকে কী অনুযায়ী পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।
- ফাংশন কী
- অ্যারো কী
- আলফাবেটিক কী বা আলফা নিউমেরিক কী
- নিউমেরিক বা লজিক্যাল কী
- বিশেষ কী বা কমান্ড কী
1. ফাংশন কী
কীবোর্ডের F যুক্ত বাটম কী গুলোকে ফাংশন কী বলা হয়।ফাংশন কী মূলত কীবোর্ডের উপরের দিকে থাকে সেগুলো হলো যে F-1 থেকে F-12 পর্যন্ত লেভেলযুক্ত ১২ টি কী।
- Ctrl+F-1 =
- Ctrl+F-2 =
- Ctrl+F-3 =
- Ctrl+F-4 =
- Ctrl+F-5 =
- Ctrl+F-6 =
- Ctrl+F-7 =
- Ctrl+F-8 =
- Ctrl+F-9 =
- Ctrl+F-10 =
- Ctrl+F-11 =
- Ctrl+F-12 =
2. অ্যারো কী বা এডিট কী
কীবোর্ডের ডান দিকে নিচে পৃথক ভাবে চারটি কী আছে। কোন কোন কী বোর্ডের উপরের দিকেও থাকে । যা খুব সহজেই কার্সারকে ডানে বামে উপরে এবং নিচে সরানো যায়। এগুলোকে আবার এডিট কী ও বলে কারন টেক্সট এডিট করার ক্ষেত্রে ও এগুলো ব্যবহার করা হয়।
- 1. ⬆️ Up – উপরে
- পেইজ অথবা কারছারকে উপরে নিতে এটিকে ব্যবহার করা হয়।
- 2. ⬇️Down – নিচে
- পেইজ অথবা কারছারকে নিচে নিতে এটিকে ব্যবহার করা হয়।
- 3. ➡️Right – ডানে
- কারছারকে ডানে নিতে এটিকে ব্যবহার করা হয়।
- 4. ⬅️Left – বামে
- কারছারকে বামে নিতে এটিকে ব্যবহার করা হয়।
3. আলফাবেটিক কী বা আলফা নিউমেরিক কী
কীবোর্ডে A থেকে Z পর্যন্ত যে মোট ২৬ টি ইংরেজি বর্ণমালা সাজানো রয়েছে সেগুলোকে আলফাবেটিক কী সেকশন বলে। আর আলফাবেট ছাড়া কিবোর্ড অচল, সব ধরনের লেখা লেখি আলফাবেটিক কী দ্বারাই করা হয়।
4. নিউমেরিক বা লজিক্যাল কী
- নিউমেরিক কী মূলত কীবোর্ডের ডানদিকে যে 0 থেকে 9 পর্যন্ত সংখ্যা লেখা কী রয়েছে সেটাকেই নিউমেরিক কী বলে।
- এখানে +, -, *, / প্রভৃতি অ্যারিথমেটিক অপারেটর থাকে।
- এছাড়াও <, >, = লজিক্যাল অপারেটরগুলো কী বোর্ডে থাকে ।
- এই কী গুলোর সাহায্য সকল প্রকার অঙ্ক বা হিসেবের কাজ করা যায়।
5. বিশেষ কীবা কমান্ড কী
উপরে যে কী গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সে গুলো ছাড়া যে বাকী কী গুলো রয়েছে তাকেই মূলত বিশেষ কী বলা হয়।
- Esc = Escape এর অবস্থান বাম পাশে উপরের দিকে। যেটি মূলত কোনো নির্দেশ বাতিল করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
- Tab = যার দ্বারা মূলত কলাম, নম্বর অনুচ্ছেদ শুরুর স্থান বা প্যারাগ্রাফ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয় সেটাকে Tab কী বলা হয়।
- Caps Look = ইংরেজি অক্ষরকে বড় ও ছোট হাতের টাইপ করার ক্ষেত্রে Caps Look কী ব্যবহার করা হয়। Caps Look অন থাকলে সব গুলো বড় হাতের টাইপ হবে।
- Shift = যে কী দ্বারা একই শব্দের মধ্যে শুরুতে বড় ও ছোট অক্ষর টাইপ করতে Shift ব্যবহার করা হয়। আর বাংলা অক্ষর লেখার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে প্রতিটি বাটনের নিচে উপরে দুইটি করে অক্ষর থাকে তখন উপরের কোন অক্ষর টাইপ করার জন্য সিফট চেপে টাইপ করতে হয়। এ ছাড়াও শিফট কী এর সাথে ফাংশন কী চেপে কম্পিউটারে বিভিন্ন কমান্ড দেওয়া হয়।
- Alt = ব্যবহার সুবিধার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের কিবোর্ডের দুইপাশে দুটি কী দেওয়া হয়েছে । বিভিন্ন প্রগ্রামে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়ার জন্য Altকি ব্যবহার করা হয়। যার দ্বারা বিভিন্ন কমান্ড ও তৈরি করা হয়।
- Enter = লেখালেখির জন্য নতুন প্যারা তৈরি করার জন্য। কম্পিউটারে কোন নির্দেশ দিয়ে সেই নির্দেশ কার্যকর করতে এই কী ব্যবহার করা হয়। মূলত এই কী Oky এর কাজ করে।
- Pause Break = কম্পিউটারে যদি আপনি কোন কিছু পড়ার সময় দ্রুত গতির কারনে কিছু পড়তে না পারেন তাহলে Pause Break কী চেপে পড়ুন।
- Print Screen = কম্পিউটার স্ক্রীনে যা কিছু থাকে সহজ ভাবে সেগুলোকে ক্যাপচার নেওয়ার জন্য মূলত Print Screen ব্যবহার করা হয়। সহজ ভাবে সেটাকে স্ক্রীনশর্ট বলা হয়।
- Delete = কম্পিউটার স্ক্রীনের মধ্যের কোন অক্ষর বা বাক্য কোন চিন্থ বা লেখা মুছে ফেলার জন্য এই ডিলেট কী ব্যবহার করা হয়। যেটি মুছে ফেলতে চান আগে সেটি সিলেক্ট করে Delete কী চাপলেই ডিলেট হয়ে যাবে ।
- Home = আপনি যদি আপনার কার্সারকে পাতার প্রথমে নিতে চাইলে তখন Home ক্লিক করলেই প্রথমে চলে আসবে। MS Word এ কোন ডকুমেন্ট লেখার সময় যদি কার্সারকে পাতার প্রথমে আনতে হয় সে ক্ষেত্রে Ctrl + Home এত সাথে ক্লিক করতে হবে।
- End = কার্সারকে আপনি যদি পাতার শেষে নিতে চান তাহলে End কী তে ক্লিক করলেই কার্সার শেষে চলে আসবে।MS word এর কোন ডকুমেন্ট লেখার সময় কার্সারকে পাতার শেষে নিতে হলে Ctrl+End এক সাথে ক্লিক করলেই শেষে চলে আসবে
- Page up = কার্সারকে উপরের দিকে উঠানোর জন্য page up কী ব্যবহার করা হয়। উপরের একটি প্যারাগ্রাফ মার্ক করতে চাইলে Shift+page up একসাথে ক্লিক করতে হবে
- PAGE DOWN = কার্সারকে নিচের দিকে নামানোর ক্ষেত্রে Page Down কী ব্যবহার হয়। নিচের একটি প্যারাগ্রাফ মার্ক করতে চাইলে Shift + Page Down এক সাথে ক্লিক করতে হবে
- Insert= সাধারনত কোনো কিছু লিখার মাঝে লিখতে গেলে ডানদিক থেকে শুরু হয় । তবে Insert কী চেপে কোন কিছু লিখলে সেগুলো আগের বর্ণের উপরে ওভার রাইটিং হয়
- Back Space = কোন কিছু লেখার পিছনের কোন কিছু মুছে ফেলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় । এর দ্বারা আরো ট্যাক্স বা প্যারাগ্রাফ মার্ক করে Back Space ক্লিক করলে সেগুলো মুছে যায়।
- Space Bar = কম্পিউটারের কীবোর্ডের যে সব থেক বড় লম্বা কী রয়েছে সেটাকে Space Bar বলে । কোন শব্দকে মাঝ খান দিয়ে ভাগ করা বা আলাদা করার ক্ষেত্রে Space Bar ব্যবহার করা হয়। কোন বাক্য লেখার সময় শব্দের মাঝে যে ফাকা রাখা হয় তখন Space Bar ব্যবহার করা হয়।
- Number look = Number look অন করলে ডার পাশে কোনায় বাম পাশের বাতিটি জ্বলতে শুরু করে, যেটি মূলত ডান পাশের নিউমেরিক কী গুলো চালু করে। যদি বাতিটি বন্ধ থাকে তাহলে নিউমেরিক কী গুলো কাজ করবে না ।
অন্তিম
কম্পিউটারের কীবোর্ড পরিচিতি ব্লগ এখানেই শেষ। আরো পড়ুন।