আসসালামু আলাইকুম, আজকের আর্টিকেলটি মূলত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে। প্রযুক্তির ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে বর্তমান সময়ে ঘরে বসেই সারা বিশ্বের খোজ খবর নেওয়া যায়। বর্তমান সময়ে সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি গুলো ব্যবহার করা হয় । ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন জটিল কাজ গুলো খুব সহজেই অল্প সময়ে করা যায়। আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে ও ডিজিটাল প্রযুক্তি আরো রয়েছে প্রযুক্তির ক্ষেত্রসমূহ, প্রযুক্তির উপকরন সমূহ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার।
Table of Contents
তথ্য কি ?
তথ্য বা ইনফরমেশন (Information) হল একটি বার্তা, যেটা বুঝা যায়, বহন করা যায় ও লেখা যায় এবং পড়া যায়। অর্থাৎ, কোন অর্থবহ প্রক্রিয়াজাত ডেটাকে (Data) তথ্য বলে। উপাত্তের একত্রিত রূপই হলো তথ্য
কম্পিউটারের ভাষায় তথ্য হচ্ছে কোন অর্থবহ প্রক্রিয়াজাত ডেটা যার উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়।
যোগাযোগ কি ?
ইংরেজি Communication শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ হলো যোগাযোগ। Communication শব্দটি ল্যাটিন Communis থেকে এসেছে। যার অর্থ হল সাধারণ।
দুই বা ততোধিক ব্যাক্তির উভয়ের জন্য প্রয়োজনীয় এবং তা বোধগম্য সাধারন তথ্যের বিনিময় হচ্ছে যোগাযোগ । Communication বা যোগাযোগ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যেখানে প্রেরকের মাধ্যমের সহয়তায় প্রাপকের নিকট বার্তা প্রদান করা সম্ভব হয়। প্রাপক গ্রহনকৃত তথ্যের উপরে ভিত্তি করে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত বা আচার আচরন ব্যাক্ত করে থাকেন।
সার্বিক ভাবে বলা যায়, Communication বা যোগাযোগ হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দুই বা ততোধিক ব্যাক্তির মাঝে ভাব,তথ্য, দক্ষতা,ও ঘটনা, অনুভূতি এবং আবেগ বিনিময় করাও সম্ভব হয়।
বর্তমানে আমরা যোগাযোগ বলতে আসলে শধুমাত্র যোগাযোগকেই বুঝি না একই সাথে এতে যে ব্যবহিত প্রযুক্তি তাকেও বুঝায় যার দ্বারা যোগাযোগ হয়।যোগাযোগ করার জন্য যে সকল প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করে থাকি তাই যোগাগোগ প্রযুক্তি বা তথ্য প্রযুক্তি বলে ডাকি।
বর্তমানে প্রযক্তি ব্যবহারের ফলে আমরা তারবিহিন অবস্থায় যোগাযোগ করতে পারতেছি।সেই সাথে মানুলের দুরত্বের পরিধি ও কমছে। যোগাযোগ করার জন্য কিছু উপাদানের প্রয়োজন হয় আর এ সকল উপাদান দ্বারা আমাদের যোগাযোগ সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে।
প্রযুক্তি কি ?
প্রযুক্তি হল কৌশল, দক্ষতা, পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া-সমষ্টি, যা পণ্য ও সেবা উৎপাদনে বা উদ্দেশ্য সাধনে ব্যবহৃত হয়; যেমন: বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান। প্রযুক্তি হতে পারে কৌশল ও প্রক্রিয়ার জ্ঞান বা এটি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে শুধুমাত্র যন্ত্রের ধারণা যে, এটি কীভাবে পরিচালিত হয় এগুলো সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান ব্যতীত। কৌশল, ( অর্থাৎ মেশিন বা যন্ত্র) যা প্রযুক্তির ইনপুট ব্যবহার নিয়ে ১টি আউটপুট ফলে পরিণত করে তাকে প্রযুক্তি কৌশল বা প্রযুক্তিগত কৌশল বলে।
প্রযুক্তি বলতে কোন একটি প্রজাতির বিভিন্ন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান প্রয়োগের ব্যবহারিক জ্ঞানকে বোঝানো হয়ে থাকে। নিজের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে প্রজাতিটি কিরকম খাপ খাওয়াতে পারছে এবং সেটাকে কীভাবে ব্যবহার করছে সেটিও নির্ধারণ করে প্রযুক্তি। মানব সমাজে প্রযুক্তি হল বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলের একটি আবশ্যিক ফলাফল।
তথ্য প্রযুক্তি কি ?
যে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উপাত্ত সমূহকে তথ্যের মাধ্যমে রূপান্তর করা যায়। বিভিন্ন তথ্য দ্রুত সংরক্ষন করা যায়। এবং প্রযুক্তির মাধ্যেমে আদান প্রদান করার জন্য তথ্যকে আধুনিকরন করা যায় এরূপ যে প্রযুক্তি গুলো রয়েছে তাকে তথ্য প্রযুক্তি বলা হয়।
এক কথায়, যে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উপাত্তকে তথ্যে রুপান্তর করেেএবং সেই তথ্যকে আদার প্রদান করা যায় তাকে তথ্য প্রযুক্তি বলে।
টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ডিভাইস ও সিস্টেমের দ্বারা তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, একত্রীকরণ,উপস্থাপন,প্রক্রিয়াকরণ, স্থানান্তর ও ব্যবহার প্রভৃতি ব্যবস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তি বলে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি কি ?
ডিজিটাল শব্দেটির বাংলা প্রতিশব্দ হলো গণনাকারী বা গণনা করা আর টেকনলজি এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো প্রযুক্তি সুতরাং এক কথায়, গণনাকারী দক্ষ শক্তি সম্পন্ন প্রযুক্তি হলো ডিজিটাল প্রযুক্তি।
যে প্রযুক্তি সংখ্যা ভিত্তিক কোন কৌশল দক্ষতা এবং প্রক্রিয়া সমষ্টির ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই হিসাব নিকাশ করা যায় পন্য পরিষষেবা ও উদ্দেশ্য পূরনের কাজ গুলো করতে পারে তাকে ডিজিটাল প্রযুক্তি বলে।
বর্তমান সময়ে সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি গুলো ব্যবহার করা হয়। ক্ষুদ্র থেকে বৃহত্তম প্রত্যেকটি কাজ সম্পূর্ন সমাধান করে এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি ?
যে প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য দ্রুত আহরন করা সংরক্ষন করা, আধুনিকীকরন,ব্যবস্থাপনা এবং বিতরন করা হয় তাকে তথ্য প্রযুক্তি বলা হয়। তথ্য প্রযুক্তিকে Information Technology বা (IT) বলা হয়ে থাকে।
কম্পিউটারের উপরে নির্ভর করে বর্তমানে সারা বিশ্বে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উটছে। তথ্যকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে এক বা একাধিক কম্পিউটার থেকৈ অন্য ডিভাইসে আদান প্রদান করার জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে।
অর্থাৎ, তথ্য প্রযুক্তির সাথে যোগাযোগ প্রযুক্তি ওলটপোলট ভাবে জরিত বলে বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তিকে (Information and communication Technology) বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। তথ্য প্রযুক্তির মুলে রয়েছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট ব্যবস্থা, আধুনিক টেলিযোগাযোগ।
বর্তমান সময়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দ্বারা একক লিস্ক বা একক তার সিস্টেমের মাধ্যমে অডিও ভিজুয়াল, টেলিফোনও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সমন্বয় প্রযুক্তিকে প্রকাশ করা হয়। একক লিস্ক সিস্টেমের মাধ্যমে অডিও ভিজুয়াল, টেলিফোনও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সমন্বয়ের ফলে বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ কমে গিয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সমাজ উন্নতভাবে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়েছে। শুরুর দিকে তখন ধারণা করা হতো প্রযুক্তির ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। কিন্তু না পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তির ফলে কিছু কিছু কাজ বিলুপ্ত ঠিকই হয়েছে বা বেশ কিছু কাজের ধারা পরিবর্তন ও হয়েছে এবং পরিবর্ত অসংখ্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির সাথে কর্মসংস্থানের সুযোগও দ্রুতহারে বেড়ে যাচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগের কারনে উৎপাদনশীলতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে । বাঙালি শিক্ষাবিদ ও বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (Massachusetts Institute of Technology) ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক ড. ইকবাল কাদির এর মতে- সংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা (Connectivity is Productivity) অর্থাৎ প্রযুক্তিতে জনগণের সংযুক্তি বাড়লে তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ে। ফলে তৈরি হয় নতুন নতুন কর্মসংস্থান।
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে একজন কর্মী অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে। ফলে, অনেক প্রতিষ্ঠানই স্বল্প কর্মী দিয়ে বেশি কাজ করিয়ে নিতে পারে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রসমূহ
- তথ্য সংরক্ষণ প্রযুক্তি।
- তথ্য আদান-প্রদান বা তথ্য যোগাযোগ ( ইন্টারনেট, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক,টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি প্রযুক্তি।
- তথ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি
- সঠিক তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহ করন।
- যাতায়াতের সুবিধায়। আরো বিভিন্ন কাজে ICT গুরুত্ব অপরিসীম।
- শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখছে(ই-লার্নিং)।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপকরণসমূহ
- হার্ডওয়্যার
- সফটওয়্যার
- ডাটা
- দক্ষ জনশক্তি
- প্রক্রিয়া
- নেটওয়ার্ক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার
- শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- গবেষণা কাজে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- কৃষি ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- বিনোদন ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- পরিবেশ ও আবহাওয়ায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- ব্যাক্তি বা সামাজিক কাজে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- প্রচার ও গণমাধ্যমে তথ্য তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- ব্যাংক মাধ্যেম তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- ক্যারিয়ারে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
শেষ কথা
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি দ্বারা আপনারা সঠিক ভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। আরো রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি কি ? ডিজিটাল প্রযুক্তি কি ? তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রসমূহ প্রযুক্তির উপকরণসমূহ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে সেরার করতে ভুলবেন না। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন
বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ সময়সূচী-World Cup Football 2022 Schedule
Bangla Stylis Facebook Bio – বাংলা স্টাইলিশ ফেসবুক বায়ো – 2023
ভূমি উন্নয়ন কর তথ্য বাংলাদেশ – Land Development Tax Information Bangladesh – 2023
ছেলেদের ইসলামিক নাম – Boys Islamic Name – 2023
Facebook Sad Status Bangla – ফেসবুক দুঃখের স্ট্যাটাস বাংলা – 2023
Bangla Caption for Facebook – ফেসবুকের জন্য বাংলা ক্যাপশন – 2023
If You Want To Read English Article Then Visit This Website: Thanks
If You Like This Article Then You Can Share This On Your Social Media Handel